কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল
নদীতে সকল প্রকার মাছধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে ২ মাসের জন্য। প্রকৃত জেলেরা সরকারের সেই নির্দেশনা মেনে নদীতে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকছে। তবে কিছু অসদোপায় অবল্বনকারী জেলে এখনো নিষিদ্ধ জাল নিয়ে নদীতে যাচ্ছে। এতেকরে নদীতে জাটকা রক্ষাকার্যক্রম ব্যহ হচ্ছে। পাশাপাশি অসদোপায় অবলম্বনকারী ঐসব জেলেদের অধিকাংশই নিরিহ। তাদের তেল আনতে পান্তা পুরোয় অবস্থা। শুধুমাত্র জীবীকার তাগিদে নদীতে যায় এসব জেলেরা।
সরকার জেলে কার্ডের মাধ্যমে জেলেদেরকে চাল দিয়ে যাচ্ছে। তবে ঐসব জেলেদের দাবী এই চালে তাদের সংসার চলে না। শধু চাল দিলে বাকি খাদ্য উপকরণ ও চিকিৎসা খরচ কে দেয় ? তাই এসব জেলেদের মধ্যে কিছু জেলে অসদোপায়ের পত বেছে নেন। তাই আমরা মনেকরি জেলেদেরকে এই দুই মাস যাবতীয় খরচ রাষ্ট্র বহন করা দরকার। তাছাড়া প্রকৃত জেলেদেরকেই কার্ড দিতে হবে। এর জন্য আরো অধিক গবেষণার মাধ্যমে প্রকৃত জেলেদের তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। আমরা দেখেছি অধিকাংশ এলাকায় প্রকৃত জেলেরা কার্ড পায়নি। অনেক পরিবারের মধ্যে দুইএকজন বিদেশে থাকেন তার পরেও দেশে থেকে পিতা জেলে কার্ড পেয়েছেন। যদিও তিনি নদীতে মাছ শিকার করেন না।
জেলে কার্ডের এমন অসঙ্গতি অসংখ্য রয়েছে। এর থেকে আমাদেরকে বেরুতে হবে। তা না হলে জাটকা রক্ষা কার্যক্রম ব্যবহই হবে।