ফরিদগঞ্জের বালিথুবায় সড়কের বেহাল দশা

ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি ১ যুগের বেশি সময় ধরে কাঁচা এই সড়কটি পাকা হবে এ আশা এলাকাবাসীর, কিন্তু কাঁচা সড়ক পাকা তো দূরের কথা তা এখন বিলীনের পথে। জনপ্রতিনিধিরা বারবার শুধু প্রতিশ্রুতিই দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু রাস্তার সমস্যা সমাধানে আজ অবধি কেহই এগিয়ে আসেনি। সামান্য বৃষ্টি হলেই চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ে রাস্তাটি। প্রতিনিয়তই মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়কটি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের সানকি সাইর- বালিথুবা সড়ক।
জানা যায়, উপজেলার সানকি সাইর-বালিথুবা সড়কের সংযোগ স্থল বালিথুবা সামছুলিয়া অদুদিয়া দাখিল মাদ্রাসা হতে সানকি সাইর জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা পর্যন্ত এক কিলোমিটার কাঁচা সড়ক পাকা না করায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজারো লোককে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। ভ্যান, সাইকেল, মোটরসাইকেল তো দূরের কথা, মানুষ পায়ে হেঁটে চলতেও কষ্টের শিকার হন। এ সড়ক দিয়ে সানকি সাইর, বালিথুবা, দত্তশোল্লা, কামালপুরসহ কয়েকটি গ্রামের লোকজন যাতায়াত করে থাকে।
শুধু তাই নয়, এ এলাকার সাধারন মানুষ, তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক’শ শিক্ষার্থী বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় বাধ্য হয়েই প্রতিনিয়ত চলাচল করছে।
সরেজমিন দেখা যায়, সড়কের প্রায় মাঝামাঝি অংশে সানকি সাইর মিজি বাড়ীর সামনে দিঘির পাড় ব্যাপক ভাঙ্গনের কারনে রাস্তা প্রায় আইলে পরিনত হয়েছে। তাতে যানবাহন চলা তো দূরের কথা পায়ে হেঁটে চলাচল করাও এখন কষ্টসাধ্য। সড়কটি পাকা হলে একদিকে যেমন বিভিন্ন গ্রামের ছাত্র-ছাত্রী ও লোকজনের যাতায়াতে ভোগান্তি কমবে, অন্যদিকে মুমূর্ষু রোগী বহনে বেগ পেতে হবে না। শ্রমজীবী মানুষেরা ভ্যান, অটোরিকশা চালিয়ে সহজে জীবিকা নির্বাহ করতে পারবেন। এলাকার কৃষকরা ধান, পাট, কাঁচা ফসল কম খরচে মাঠ থেকে বাড়ি আনতে পারবে এবং তা বাজারে বিক্রি করতে পারবে।
সানকি সাইর গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর মিয়াসহ কয়েকজন জানান, ‘আমরা দীর্ঘদিন যাবত রাস্তাটি পাঁকা করার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বাদের অবহিত করলেও তার কার্যত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বছরের পর বছর শুধু আশার বানী শোনালেও তা বাস্তবে রুপ নিবে কিনা আমাদের জানা নেই। তবে জনস্বার্থে এ রাস্তাটি সংস্কার করে পাকা করন জরুরী তারা দাবী করেন।
এ বিষয়ে বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ হারুন অর রশিদ জানান, আমি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এ রাস্তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বহুবার অবহিত করেছি। আশার বানী শোনালেও তা আলোর মুখ দেখেনি। তিনি আরো জানান, গত কয়েক সপ্তাহ পূর্বে পূনরায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *