ফরিদগঞ্জে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে যাত্রীদের ক্ষোভ

ফরিদগঞ্জ আঞ্চলিক জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক ফরিদগঞ্জ-রূপসা সড়কে যাতায়াত করা সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি যেন শেষ হয়েও হয়নি শেষ। কয়েক ধাপে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর নানা প্রতিবন্ধকতার বেড়াজাল পেরিয়ে সড়ক সংস্কার হয়। তবে এই রুটের অন্যতম বাহন সিএনজিচালিত অটোরিকশাগুলোতে যাত্রীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি টাকা আদায় করা হচ্ছে।
উপজেলার পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে সদর উপজেলার যোগাযোগ রক্ষাকারী জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি দিয়ে যাতায়াতে করা কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগে ফরিদগঞ্জ থেকে রূপসা যাতায়াতের ভাড়া নির্ধারিত ছিল ২০ টাকা। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে খানাখন্দে ভরা এই সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে ওঠে। যার ফলে গাড়ি চালকেরা কেউ কেউ বিকল্প সড়ক দিয়ে যাতায়াতের কারণ দেখিয়ে আবার কোনো কোনো সিএনজি চালক সেই সড়কটি দিয়ে যেয়ে গাড়ির বিভিন্ন পার্টস দ্রুত নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণ দেখিয়ে ২০ টাকা ভাড়ার বদলে ৩০ টাকা আদায় করত। সে সময় সড়কের এমন অবস্থার কারণে অনেকটা পরিস্থিতির শিকার হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যাত্রীদের যাতায়াত করতে হয়েছে। কিন্তু গত কয়েক দিন আগে সড়কটির সংস্কার কাজ শেষ হয়ে আগের ন্যায় পিচঢালা মসৃণ সড়কে পরিণত করা হয়। তবুও নির্দিষ্ট ভাড়ার ৫০ শতাংশ বেশি টাকা আদায় করছে সিএনজি অটোরিকশা চালকেরা।
সড়কটি সংস্কারের এক সপ্তাহ পার হলেও কমেনি বর্ধিত ভাড়া। বিভিন্ন সময় এ রুটের যাত্রীরা চালকদের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ালেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। চালকেরা ২০ টাকার ভাড়া ৩০ টাকাই আদায় করছেন। এমন পরিস্থিতি সমাধানে এ পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন, সিএনজি অটোরিকশা মালিক সমিতির প্রতিনিধি কাউকে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। যেন অভিভাবকহীন সড়কটি দেখার কেউ নেই। এ রুটে নিয়মিত যাতায়াত করা যাত্রীদের যেন ভোগান্তির শেষ হয়েও হয়নি শেষ।
সিএনজি অটোরিকশা চালক মনির হোসেন বলেন, সবকিছুর দামই তো বাড়ে, বাজার কোনডার দাম কমছে? আমরা যে গ্যাস ডুকাই গ্যাসের দামও তো কয়েকবার বাড়ছে। যেইডার দাম একবার বাড়ে, ওইডা কি আর কমেনি?
দূরত্ব অনুযায়ী অন্য রুটগুলোতে তো ভাড়া আরও কম তা হলে এই রুটে কেন আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া? এমন প্রশ্নের জবাবে ইকবাল হোসেন নামে আরেক চালক বলেন, সবকিছুর দামই বাড়ে। ড্রাইবারগো ধারে ভাড়া দিতে আইলেই সব সমস্যা দেহা দেয় মাইনসের।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মিজির বলেন, অনেক দিন জরাজীর্ণ অবস্থায় থাকার পর সড়কটি সংস্কার করা হয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। যেহেতু আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি তাই আমরা শিগগিরই সিএনজি ও অটোরিকশা চালকদের ডেকে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিউলী হরি বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *