ফরিদগঞ্জে তৃতীয় স্বামীর সাড়ে ৫ লাখ টাকা নিয়ে উধাও

ফরিদগঞ্জে তৃতীয় স্বামীর সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে উধাও হয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় ফরিদগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৯ জুলাই ঢাকা খিলক্ষেত থানার আমতলা এলাকায়।

অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ কাচিয়ারা গ্রামের মৃত অহিদ উল্লাহ পাটোয়ারীর কন্যা ফারিয়া আক্তার আখি (২৮) তৃতীয় স্বামী কবির হোসেনের সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে পরকীয়া প্রেমিক টেলু গাজীর সাথে উধাও হয়ে গেছে।
এই ঘটনায় ভুক্তভোগী স্বামী কবির হোসেন বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ফরিদগঞ্জ থানার এসআই আনোয়ার হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ফারিয়া আক্তার আঁখিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। কিন্তু ফারিয়া আক্তারের দ্বিতীয় বাবা মাহবুবুল আলম স্বপন তার মেয়ের স্বামীর চুরি হওয়া সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বলে মুচলেকা দিয়ে অবশেষে থানা থেকে মেয়েকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। তারপরে ফারিয়া আক্তার আঁখি ও তার বাবা টাকা না দিয়ে টালবাহানা শুরু করেছে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কবির হোসেন জানায়, ফারিয়া আক্তার আখির মা জেসমিন আক্তার খুকি তার মেয়ের ২ বিয়ের কথা গোপন রেখে তিন মাস পূর্বে চাঁদপুর আদালত প্রাঙ্গণ এলাকায় কাজীর মাধ্যমে আমার সাথে বিয়ে দেয়। বিয়ের তিন মাস যেতে না যেতেই গত ২৯ জুলাই খিলক্ষেত আমতলা জিতু হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া বাসার দ্বিতীয় তলা থেকে মোট ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায়। সেইদিন খিলক্ষেত থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয় ডায়েরি নং ১৪২৫ তারিখ, ২৯/৭/২০২১।

এই ঘটনাটি ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশকে জানানো হলে তারা মেয়ের কললিস্ট বের করে দেখেন সর্বশেষ কলটি চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের বাসিন্দা ও বর্তমানে শহরের ব্যাংক কলোনি এলাকার বসবাসকারী টেলু গাজীর ব্যবহৃত নাম্বারে ফোন করে যোগাযোগ করেন। চুরির টাকা নিয়ে তার পরকীয়া প্রেমিক টেলুর সাথে প্রতারক ফারিয়া আক্তার আখি আত্মগোপনে থাকে।

দীর্ঘদিন পর আত্মগোপনে থাকা ফারিয়া আক্তার আখি তার বাবার বাড়িতে আসার পর খবর পেয়ে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

পরে খিলক্ষেত থানার জিডি মূলে অবশেষে তাকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে তার দ্বিতীয় বাবা মাহবুবুল আলম স্বপন মুচলেকা দিয়ে স্থানীয়ভাবে সমস্যাটির সমাধান করে চুরি হওয়া টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলে মেয়েকে থানা পুলিশের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে। স্থানিয়ভাবে বসার চেষ্ঠা করলে তারা উল্টা মিথ্যা মামলা দায়ের করে।

আখির পরকীয়া প্রেমিক টেলু গাজী জানান, ফারিয়ার বিয়ে হয়েছে কিনা তা জানা নেই, তবে তার সাথে মোবাইলে কথা হতো। তার ভাই আমার গাড়িতে কাজ করতো সেই সুবাদে তাদের বাসায় আসা যাওয়া হতো। কিছুদিন পূর্বে সে ফোন করে তাকে ঢাকা থেকে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিল কিন্তু পরে আর দেখা হয়নি। তার স্বামীর টাকা বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই। একমাত্র সেই বলতে পারবে সেই টাকা কি করেছে। তবে আমাকে হয়রানি না করলেই খুশি হব।

এ ঘটনায় প্রতারক ফারিয়া আক্তার আখি জানান, বাসা থেকে না বলে চলে আসার কারণে সে টাকা নেওয়ার অপবাদ দিয়েছে। তবে বাসা থেকে চলে আসার পর বেশ কয়েকদিন আত্মীয়স্বজনের বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন। টেলু গাজীর সাথে শুধুমাত্র মোবাইল ফোনে সম্পর্ক হয়েছে সে আমাদের বাড়িতেও বেড়াতে এসেছে তাই তার সাথে মোবাইল ফোনে কথা হতো।
এদিকে ফরিদগঞ্জের স্থানীয়রা জানান, ফারিয়া আক্তার আখির মা জেসমিন আক্তার খুকির স্বামী মারা যাওয়ার পর হাজীগঞ্জের দালাল মাহবুবুল আলম স্বপনের সাথে বিয়ে হয়।

ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি, ১৮ আগস্ট, ২০২১;

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *