ফসলি জমির মাটি বিক্রির অপরাধে আটক ৮

স্টাফ রিপোটার চাঁদপুর সদর উপজেলার ইব্রাহীমপুর ইউনিয়নে ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রয় করার অপরাধে ৮ জনকে ১ বছর করে কারাদন্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। ১১ই ফেব্রুয়ারী শুক্রবার বিকেলে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন চাঁদপুর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী। দন্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামীকে ১ বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেনঃ চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার রাড়ীকান্দি এলাকার দুলাল সরকারের ছেলে মোঃ হাবিবুর রহমান (২০), একই উপজেলার দক্ষিন গাজীপুর এলাকার ফয়জুল হকের ছেলে আরিফ হাসান (২৪), নিলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার ছাতনাই কলোনির মৃত. বাহাজ উদ্দিনের ছেলে আঃ আলীম (২৪), একই এলাকার মোঃ আলেক নবীর ছেলে সুজন (২৫), সুনামগঞ্জ জেলার পাগলা গ্রামের অলি মিয়ার ছেলে আলী নূর (২০), শরিয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার আতিক উল্ল্যাহর ছেলে বিপ্লব (২৩), বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার মুনসুর আলীর ছেলে মোঃ আল আমিন (২৫) ও নোয়াখালি জেলার কবিরহাট উপজেলার মজিবুল হকের ছেলে নূর নবী (৬০)।
জানা যায়, চাঁদপুর সদর উপজেলার ইব্রাহিমপুর (চরফতেজংপুর বাজার সংলগ্ন) ও চরমুকুন্দী স্থানে কৃষিজমি নষ্ট করে অবৈধভাবে মাটি কেটে ট্রলার করে মুন্সিগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করতো একটি চক্র। চক্রটি রাজনৈতিক বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের নাম ব্যবহার করে তা পরিচালনা করতো।
চাঁদপুর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী জানান, কৃষি জমি নষ্ট করে অবৈধভাবে মাটি কাটা ও বিক্রি করার অভিযোগে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। অবৈধভাবে মাটি কাঁটার দায়ে ঘটনাস্থল থেকে ৮ জনকে আটক করা হয়। পরে ওই ৮ জনকে অবৈধভাবে মাটি কাঁটার দায়ে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ মোতাবেক প্রত্যেককে ১ বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়। এই মোবাইল কোর্টে সহযোগিতায় চাঁদপুর জেলা পুলিশের ১টি টিম উপস্থিত ছিলো।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, যাদেরকে ধরা হয়েছে তাদের মধ্যে অনেকেই সাধারণ শ্রমিক। প্রকৃত অপরাধীরা বরাবরের মতো ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে গেছে। যারা এসব লেবার দিয়ে মাটি কেটে বিক্রির সাথে জড়িত তাদের একজনও ধরা হয়নি। তাদেরকে না ধরতে পারলে এই অপরাধ বন্ধ হবে না। এই চক্রটি অত্যন্ত প্রভাবশালী হওয়ার কারণে তাদেরকে পুলিশ ধরতে পারছে না। অথচ নিরিহ শ্রমিকদেরকে আটক করে কোন লাভ হচ্ছে। স্থানীয় এলাকাবাসী মনেকরেন প্রকৃত অপরাধীদের ধরে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করলে অবৈধ মাটিকাটা বন্ধ হবে এবং নদী তীরবর্তী এলাকা নদীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পাবে। এ ব্যাপারে সবাই চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *