মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হলে জলাশয় রক্ষার বিকল্প নেই

 

মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হলে জলাশয় রক্ষার বিকল্প নেই

কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল

‘মাছে ভাতে বাঙালী’ এটা নিরেট বাস্তবতা। আজো বাঙালী জাতি মাছে-ভাতে বাঙালী। যদিও গ্রাম প্রধান এই বাংলার নদী-নালা খাল-বিল আশঙ্কাজনক হারে কমে আসছে। আশ্রয়ণ, পুরর্বাসন, নগরায়ণ এবং বসতি স্থাপনের মাধ্যমে এখন দেশের অসংখ্য খাল বিল, পুকুর ডোবা ভরাট হয়ে যাওয়ায় মাছের অধিক্য কমে এসেছে অনেকখানি।

বালু সন্ত্রাসের কারণে দিন দিন দেশীয় মাছের ভান্ডারগুলো দিন দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে। কমে আসছে মাছে উৎপাদন। একদিকে যেমন পুকুর ডোবা কমে যাচ্ছে অপর দিকে মাছ

চাষেও আসছে নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার। অল্প যায়গায় অধিক মাছ চাষের জন্য গবেষণা চলছে বিশ্বব্যাপী। তবে মাছে ভাতে বাঙালী হওয়ার কারণে মাছের চাহিদা দিন দিন বেড়েই

চলছে। এই চাহিদা মোকাবেলার জন্য জলাশয় রক্ষার জন্য সরকারকে অবিলম্বে উদ্যোগ নিতে হবে।

বিশেষ করে জলাশয় ভরাট রোধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে না পারলে মাছের চাহিদা যোগান দিতে বিদেশ থেকে মাছ আমদানী করতে হবে। তাই আমরা যেন সেই দিন দেখতে

না হয়। তাই মাছের অভয়াশ্রমগুলো রক্ষা করতে হবে। এর জন্য ভরাট বন্ধ করতে হবে। বিশেষ করে সব ধরনের জলাধার রক্ষার উদ্যোগ নিতে হবে। বসবাসের জন্য অনবাদি এবং

 

পতিত জমিকে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। দেশের সব ধরনের পুকুর, ডোবা, নদীনালা খাল বিল রক্ষায় আইন করতে হবে। যাতে যেই ইচ্ছে করলেই জলাধার ভরাট করতে না পারে।

 

এর জন্য সরকারের পারমিশন নিতে হবে। সরকার যথোপযুক্ত মনে করলেই কেবল সেই জলাধার ভরাট করতে পারবে। এমন উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারলে দেশীয় প্রজাতির জলাশয়গুলো রক্ষা করা যাবে। তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আহবান জানাচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *