১৮ অক্টোবর রাত থেকে ১৯ অক্টোবর রাত পর্যন্ত থেমে থেমে কখনো হালকা আবার কখনো মুশলধারে বৃষ্টি নেমেছে। লাগাতার বৃষ্টির কারণে ভাপসা গরম কমে আসলেও বৃষ্টির কারণে মানুষের দূর্ভোগ কম ছিল না। বিশেষ করে অফিসগামী এবং সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের অবস্থা ছিল অনেকটা নাজুক। সকালের কাজের যাওয়ার সময় বৃষ্টি না থাকলেও পথে কিংবা কাজে যোগ দেয়ার পর নেমেছে অঝর ধরায়। অনেকটা আষাঢ়ে বৃষ্টির মতো ঝড়েছে।
এমন চিত্র ছিল চাঁদপুর জেলার সর্বত্র। গতকালের বৃষ্টি নির্দিষ্ট কোন মহলায় নয় বরং সর্বত্রই কম বেশী বৃষ্টি ঝড়েছে বলে জানা যায়। অনবরত বৃষ্টির কারণে চাঁদপুরের কিছু নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট তলিয়ে যেতে দেখা যায়। এতে কিছুটা দুর্ভোগ দেখা যায়।
একে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপ। এর সঙ্গে পুবালি ও পশ্চিমা হাওয়া। এর মিলিত প্রভাবে দেশজুড়ে বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া অফিস বলেছে এই বৃষ্টি থাকবে আরও দুদিন। সুখবর হলো, এবারের বৃষ্টি গরমের ভোগান্তি ভোলাবে। শীতের আগমনী বার্তাও থাকছে। বিশেষ করে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমের জেলাগুলো পাবে হিমেল হাওয়ার পরশ। আশ্বিনের ভ্যাপসা গরম থেকে মুক্তি মিলবে। আবহাওয়া অধিদপ্তর এ বার্তা দিয়েছে গতকাল মঙ্গলবার।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ভারতের তেলেঙ্গানার কাছের এলাকায় সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি এখন মধ্যপ্রদেশ এবং এর কাছের এলাকায় আছে। বাংলাদেশে এখন এর প্রভাব তেমন নেই। এর মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল থেকে বিদায় নিয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, চাঁদপুরসহ অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
স্টাফ রিপোর্টার