ভেজাল মশার কয়েলে বাজার সয়লাব

এস আর শাহ আলম মশক নিধনকারি ভেজাল কয়েলে সয়লাব চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন হাটবাজার। গত কযেকমাস ধরে জেলা জুড়ে মারাক্তক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে ভেজালযুক্ত মশার কয়েলের।
মশা নিধনে চাঁদপুর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ না থাকলেও। মশার কয়েলে নির্ভর করছে সাধারন মানুষ। মশার কামড়ে নানাহ ধরনের রোগ বালাই দেখা দেয় মানব দেহে। এদিকে দেশের বিএসটি আই অনুমোদিত কয়েল থাকলেও ভেজালে ভরে গেছে হাটবাজার। এছাড়া জেলার ভিবিন্ন অবৈধ কারখানায় তৈরিকৃত কয়েল তৈরি হচ্ছে নিন্মমানের। কয়েলে আগের মত কোন কার্যকারিতা নেই। মেডিসিন কম ব্যাবহারের কারণে মশা নিধন হচ্ছে না। তাছাড়া লক্ষ্য করা যায়, বর্তামান বাজারজাতকৃত নামি দামি কয়েল কোম্পানীর কয়েল জ্বালানোর পরে তেমন কার্যকারিতা হচ্ছে না।
আরো দেখা যায় কয়েল জ্বালানোর ঘন্টা পার না হতেই তা নিভে যায়।
তাছাড়া কিছু কিছু কোম্পানির কয়েলের প্যকেটে ৭০-৮০ টাকা নির্ধারিত মূল্য লিখা থাকলেও দোকানীরা তাহা ৪০-৪৫ টাকা বিক্রি করছে। বর্তমান বাজারে আসল কোম্পানিগুলির সাথে পাল্লা দিয়ে নকল মশক নিধন কয়েলে হাট বাজারের প্রতিটি দোকান ছেয়ে গেছে। কোন এক সময় এসিআই কোম্পানির কয়েল ব্যবহার করে মানুষ শান্তিতে ঘুমাত আর এখন তাও নিন্ম মানের কয়েলে বাজার জাত হচ্ছে। এছাড়া গঙ্গা কয়েল প্রথম বাজারে রপ্তানী হলে মানুষের কাছে চাহিদা ছিলো। আর এখন নকলে পরিণত হয়েছে বলে দোকানীরা জানান। তার সাথে তুলসি পাতা কয়েল নাম করনে বাজারে থাকলেও বর্তমানে নিন্ম মানের হয়ে পড়েছে। আরো আছে বুস্টার সহ নানাহ নামের কয়েল। সবই এখন ব্যবহার অনুপযোগী বলে সাধারণ মানুষ। এক কথায় নামে বেনামে কয়েল বাজারজাত করে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে বলে সচেতন মহল দাবী করেন। গত কযেক মাস ধরে বাজারে আমদানি হয়েছে চায়নার কয়েল। যা আগে মশা মারা বা তারানোর ক্ষমতা থাকলেও এখনকার সময়ে তা আর নেই। চায়না কয়েলের প্যকেট বাজারে ৬০-৭০ টাকা বিক্রি হলেও সেটাও আজ নিন্ম মানের হয়ে গেছে বলে দোকানীরা বলেন।
বর্তমান বাজারে যত কোম্পানির কয়েল রয়েছে তা অকার্যকর বলে মনে করেন ক্রেতাগণ। মশক নিধনকারী কয়েল সাধারণ মানুষের পকেট থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে মনে করছেন সকলে। আর তাই ওই সব নিন্ম মানের মশক নিধক নামের প্রতারণার জাল কয়েল কোম্পানীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান সাধারন মানুষ।
এদিকে দীর্ঘদিন যাবৎ চাঁদপুর পৌর সভার পক্ষ থেকে মশক নিধন কার্যক্রম করার নিয়ম থাকলেও পুরানবাজারসহ পৌর এলাকায় তা কার্যকর নেই। ফলে মোশার উপদ্রপ দিন দিন বেড়েই চলছে। একই পন্থায় পরিণত জেলার, হাইমচর, ফরিদগঞ্জ, মতলব দক্ষিণ ও মতলব উত্তর, হাজীগঞ্জ, শাহরাস্থি, কচুয়া থানা ও শহরের চিত্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *