প্রয়াত শিক্ষক মনকুমার দাসের স্মরনসভা

চাঁদপুর শহরের ঐতিহ্যবাহী পুরানবাজার মধুসূদন উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারি শিক্ষক ও বাংলাদেশ সম্মিলিত অখণ্ড সংগঠনের অন্যতম উপদেষ্টা মনকুমার দাসের স্মরনে স্মরনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২৯ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলে পুরাণবাজার দাসপাড়া কালী মন্দির প্রাঙ্গণে এই স্মরন সভা অনুষ্ঠিত হয়। জীবনদীপের আয়োজনে এবং দাসপাড়া কালী মন্দির কমিটির সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত স্মরন সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর হরিবোলা সমিতির সভাপতি অজয় কুমার ভৌমিক।

পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রাধা গোবিন্দ গোঁপের সভাপতিত্বে ও চাঁদপুর অযাচক আশ্রম পরিচালনা পরিষদের সভাপতি দুলাল চন্দ্র দাসের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রয়াত মনকুমার দাসের বর্ণাঢ্য জীবন ও কর্ম সম্পর্কে আলোচনা করেন জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অ্যাড. বিনয় ভূষণ মজুমদার, জেলা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ, জেলা জন্মাস্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি গোপাল চন্দ্র সাহা, পুরাণবাজার মধুসূদন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষাক গনেষ চন্দ্র দাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাসুদেব মজুমদার, আনন্দধ্বনী সংগীত শিক্ষায়তনের অধ্যক্ষ রফিক আহমেদ মিন্টু, জেলা পূজা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিমল চৌধুরী, ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুলাল চন্দ্র দাস, ৩নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গীতা রাণী দে, দক্ষিণ ইচুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাপসী রাণী কর, মাতৃপীঠ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক মাসুদুর রহমান, হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক আব্দুল আজিজ শিশির, বাংলাদেষ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন, দাশ পাড়া কালি মন্দীর কমিটির সভাপতি স্বপন দাস, সাধারণ সম্পাদক বিকাশ দাস, দুর্গাপূজা উদযপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গৌতম দাস, শ্যামা কালি পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ মজুমদার, জেলা পূজা পরিষদের দপ্তর সম্পাদক রঞ্জিত সাহা মুন্না, স্বপন কুমার দাস, শিবু চরন দাস প্রমুখ।

স্মরণ সভায় বক্তারা বলেন, ‘প্রয়াত মন দকুমার দাস একজন ভালো মানুষ ছিলেন। সমাজের জন্যে যারা ভালো কাজ করেন, তাদের মৃত্যু নেই। তারা তাদের ভালো কাজের মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকেন। তেমনি প্রয়াত শিক্ষক মনকুমার দাস মরেনি। তিনি চাঁদপুরের মানুষের মাঝে বেঁচে আছেন, বেঁচে থাকবেন। তিনি দেখে গেছেন সন্তানরা কেমন হয়। তার দুই সন্তান শিক্ষকতা করছেন, সমাজিক কাজ করছেন। তারা সবার কাছে প্রিয়। একজন পিতার কাছে এ প্রাপ্তি সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। দাস পাড়ার মানুষ আজো মনকুমার দাস কে স্মরনে রখেছে তার প্রমান আজকের এ শোক সভা। এই দাস পাড়ায় অনেক প্রতিতযশা মানুষের জম্ম হয়েছে। তার মধ্যে মনকুমার দাস একজন। তিনি এ লাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগিয়ে গেছেন। দাস পাড়ার মানুষের মাঝে ঐক্য দেখেছি, তা যেন অনন্তকাল থাকে।বক্তারা বলেন, প্রয়াত মনকুমার অত্যন্ত হাস্যজ্জোল ব্যক্তি ছিলেন। তিনি শিক্ষার্থীদের খুব সুন্দর ভাবে পড়া লেখা করাতেন। মন কুমার দাসের স্নেহ আদর আমরা পেয়েছি। এ দাস পাড়াতে শিক্ষার হার কম ছিল। মনকুমার দাসের সাথে দাস পাড়া মানুষের খুব ভাল সম্পর্ক ছিল।

স্মরনসভায় এলাকাবাসীসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষিকা, অভিভাবক, ছাত্র, ছাত্রী ও বিভিন্ন পর্যায়ের সুধীজন উপস্থিত ছিলেন। স্মরনসভায় প্রয়াত মনকুমার দাসের দুই ছেলে চাঁদপুর ই-হক কোচিং সেন্টারের পরিচালক মৃনাল কান্তি দাস ও মৃদুল কান্তি দাস সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পূর্বক তাদের প্রয়াত পিতার আত্মার শান্তি কামনায় সকলের আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *