মুহাম্মদ বাদশা ভূঁইয়া এসো মিলি মুক্তির মোহনায়’ শ্লোগানকে হৃদয়ে ধারন করে ৮ ডিসেম্বর থেকে চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়ামে মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা শুরু হয়েছে। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়ামের নতুন ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত বিজয় মেলার মাঠে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য গেছে। এ বছর মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা গৌরবের ৩০ বছর।
৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিজয় মেলার দ্বিতীয় দিন বিকেল থেকে মেলা মাঠে তরুণ প্রজন্মসহ লোকে লোকারণ্য ছিলো। বিজয় মেলায় আসা মানুষজন স্মৃতি সংরক্ষণ স্টল ঘুরে ঘুরে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্বলিত স্থিরচিত্রগুলো দেখে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জানছে। এ বছর আউটার স্টেডিয়ামে বিজয় মেলা হওয়ায় আমরা স্বাচ্ছন্দ বোধ করছি। বড় পরিসরে বিজয় মেলা করা হচ্ছে। আবার অনেকে বিকালের নিরব পরিবেশে মেলা মাঠের দোকান ঘুরে ঘুরে তাদের পছন্দ মতো পণ্যসামগ্রি কিনতে দেখা যায়। এ বছর কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের পাক প্রাথমিক পরীক্ষা না থাকায় অভিবাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে বিজয় মেলা মাঠে ছুটে আসছে। শিশুদের জন্য মেলা মাঠে স্থাপিত বিনোদনের রাইডারগুলোতে চড়তে শিশুরা ব্যতিব্যস্ত।
১৯৯২ সাল থেকে শুরু হওয়া চাঁদপুরের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা এ বছর গৌরবের ৩১তম বর্ষে উপনীত হয়েছে। বিগত ৩০ বছরের মতো এ বছর শুরুতেই মেলা জমজমাট হয়ে উঠেছে। এ বছর বিজয় মেলা কর্তৃপক্ষ মেলায় বেশ কিছু নতুনত্ব এনেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার। মেলা কর্তৃপক্ষ শিশুদের কথা বিবেচনা করে এ কর্নারটি প্রদর্শনী স্টলের দক্ষিণ পাশে তৈরি করায় মায়েরা তাদের শিশুদেরকে নিরাপদে বুকের দুধ ও খাবার খাওয়াতে পারছে।
চাঁদপুরে মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা চাঁদপুর ৮ ডিসেম্বর মুক্ত দিবসে শুরু হয়েছে। তা চলবে জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত।
চাদপুরে “মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা- ২০২২” শুভ উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ সময় জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এম এ ওয়াদুদ সহ সূচনাকালে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা এম ইয়াকুব মাস্টার, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার মহাসচিব হারুন আল রশীদ, স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ও সাবেক মহাসচিব শহীদ পাটওয়ারী, যুগ্ম মহাসচিব শরীফ চৌধুরী, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবু, বিজয় মেলার সাংস্কৃতিক পরিষদের আহ্বায়ক তপন সরকার, সদস্য সচিব মৃনাল সরকার, মাঠ মঞ্চের সদস্য সচিব মানিক দাস, নাট্য পরিষদের সদস্য সচিব এমআর ইসলাম বাবু, স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক মনির হোসেন মান্না ও সদস্য সচিব অভিজিত রায়, সাঁতারু সানাউল্যা খান ও শেখ আল মামুন। এ বছর মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার গৌরবের ৩১ বছর। যার জন্যে বিজয় মেলায় কিছুটা নতুনত্ব আনা হচ্ছে বলে বিজয় মেলার স্টিয়ারিং কমিটির সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ ওয়াদুদ জানিয়েছেন।
শিশু-কিশোরদের জন্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের খেলনা সামগ্রী ও কসমেটিঙ্ সামগ্রীর স্টল। এর পাশাপাশি রয়েছে শীতের হাত থেকে রক্ষা পেতে বেশ কয়েকটি বেস্নজার ও উন্নতমানের কম্বল এবং পশমী চাদরের স্টল। নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাটখিল, চট্টগ্রাম, বরিশাল, ঢাকাসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রায় ২০০টির মতো বাণিজ্যিক স্টল মেলায় এসেছে। খাবার সামগ্রীর মধ্যে লেকেরপাড় চটপটির দোকানটি বেশ কয়েক বছর ধরে চাঁদপুরবাসীর হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে।
৩ কলাম ছবি ৬ বক্স