হাজীগঞ্জে স্বামীর স্বীকৃতি পেতে শিক্ষার্থীর অনশন : ৪ লাখ টাকায় রফা

 

 

হাজীগঞ্জে স্বামীর স্বীকৃতি পেতে শিক্ষার্থীর অনশনের ঘটনা : ৪ লাখ টাকায় দফারফা

হাজীগঞ্জ প্রতিনিধি

হাজীগঞ্জে স্বামীর স্বীকৃতি পেতে এক শিক্ষার্থী অনশন করছেন। শুক্রবার দুপুর থেকে ওই শিক্ষার্থী স্বামীর বাড়িতে অনশন শুরু করেন। অনশনের আগে আত্মহত্যারও চেষ্টা চালাই ওই শিক্ষার্থী। সোমবার স্থানীয় চেয়ারম্যান ও এলাকার কয়েকজন মিলে বৈঠকের মাধ্যমে ৪ লাখ টাকায় দফারফা হয় বলে জানা যায়। টাকা দিয়ে দফারফা করায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

অনশন করা ওই শিক্ষার্থীর সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি। বর্তমানে ওই শিক্ষার্থী তার বাবার বাড়িতে আছেন বলে জানা যায়।
জানা যায়, হাজীগঞ্জ উপজেলার ১০ নং গন্ধ্যবপুর দক্ষিন ইউনিয়নের কাশিমপুর গ্রামের তাহের চৌধুরীর মেজো ছেলে মোঃ রাকিব চৌধুরী একই ইউনিয়নের হোটনী গ্রামের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফাতেমাকে কোর্টে গিয়ে বিয়ে করেন। নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে বিয়েটি সম্পূর্ণ হয়। বিয়েতে ২লাখ ৩০ হাজার টাকা কাবিন করা হয়।

ফাতেমা দেশগাঁও ডিগ্রী কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। সে হাজীগঞ্জ উপজেলার হোটনী গ্রামের মৃত আব্দুল সাত্তারের মেয়ে।

রাকিব চৌধুরী একই কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্র। সে দেশগাঁও জয়নাল আবেদিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক তাহের চৌধুরীর ছেলে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, ছেলের পক্ষ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতে অনশনের নাটক সাজানো হয়েছে। এতে এলাকার কয়েকজন জড়িত।

ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন বাচ্চু জানান, দুই পক্ষকে নিয়ে শালিসের মাধ্যমে মিমাংসা করা হয়েছে। ছেলের পক্ষ মেয়েকে ৪ লক্ষ টাকা দিয়েছে।

শালিসে উপস্থিত থাকা দেশগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনির হোসেন জানান, মেয়ের পক্ষ কে ৪লাখ টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং শালিসের রায়ের একটি স্ট্যাম্প করা

 

হয়েছে।
হাজীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)জোবাইর সৈয়দ জানান, এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *