রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘে ভারতের গঠনমূলক ভূমিকা চেয়েছে বাংলাদেশ

রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘে ভারতের গঠনমূলক ভূমিকা চেয়েছে বাংলাদেশ
রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘে ভারতের গঠনমূলক ভূমিকা চেয়েছে বাংলাদেশ

চাঁদপর সময় রিপোট-রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে ভারতের কাছে গঠনমূলক ভূমিকা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া বাংলাদেশ-ভারত উভয়পক্ষই সীমান্তে নিরীহ মানুষের মৃত্যু শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে একমত হয়েছে।
শনিবার (২৭ মার্চ) বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ ঘোষণায় এসব উল্লেখ করা হয়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফর শেষে দুই দেশ ৬২ দফা যৌথ ঘোষণা দেয়। যৌথ ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে উষ্ণ পরিবেশে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় নানা ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে।

দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে পানিবন্টন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিস্তা চুক্তির বিষয়ে আলোচনা তোলেন। আর নরেন্দ্র মোদী তিস্তা চুক্তি নিয়ে পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

যৌথ ঘোষণায় বলা হয়, বাংলাদেশ দ্বিতীয় সেটেলাইট চালু করবে। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের কারিগরি সহযোগিতা চেয়েছেন।

উভয়পক্ষ জাতিসংঘ ও বহুপক্ষীয় সংস্থায় এক যোগে কাজ করবে। দুই দেশের মধ্যে ৫টি সমঝোতা সই হয়েছে। এছাড়া ৭টি প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়।

দুই দেশ আঞ্চলিক কানেকটিভিটি বাড়াতে একমত হয়েছে। সড়ক, নৌ, আকাশ, রেল পথে দুই দেশ কানেক্টিভিটি বাড়াবে। এছাড়া এই অঞ্চলের আশপাশের দেশগুলোর সঙ্গেও আঞ্চলিক কানেকটিভিটি বাড়াবে উভয় দেশ।

দুই দেশ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা বাড়াবে। এদিকে বাংলাদেশের এক হাজার শিক্ষার্থীকে স্কলারশিপ দেবে ভারত।

দুই দেশ বাণিজ্য বাড়াতে একমত হয়েছে। বাণিজ্য বাড়াতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নন ট্যারিফ বাধা তুলে নেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।

সীমান্তের মনু, মুহুরি, দুধকুমার, খোয়াই, গোমতী ও ধরলা নদীর পানিবণ্টনে অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তির কাঠামো দ্রুত তৈরিতে উভয়পক্ষ একমত হয়েছে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে নরেন্দ্র মোদী ২৬ মার্চ দুই দিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন।

শুক্রবার সকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় আসেন। ঢাকায় আসার পর তিনি সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

২৬ মার্চ বিকালে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে স্বাধীনতা দিবসের জাতীয় অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দেন। করোনাকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এটাই প্রথম বাংলাদেশ সফর। দুই দিন সফর শেষে শনিবার রাতে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৬-৭ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রথমবার ঢাকা সফর করেন। এবার তিনি দ্বিতীয় দফায় ঢাকা সফরে আসলেন। শনিবার রাতে ঢাকা ছেড়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *