শর্টকোর্স ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি

 

স্টাফ রিপোর্টার

জাতীয় দক্ষতামান বেসিক ট্রেড কোর্স (৩৬০ ঘন্টা) বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে চলমান রাখা প্রসঙ্গে শর্টকোর্স ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে জেলা

প্রশাসকের মাধ্যমে কয়েক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যেমাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

রবিবার (২ অক্টোবর) দুপুরে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান এঁর নিকট শর্টকোর্স ঐক্য পরিষদ চাঁদপুর জেলা শাখার নেতৃবৃন্দরা এ স্বারকলিপি

প্রদান করে।

স্মারক লিপিতে সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উল্লেখ্য করেন ২০০৩ সাল থেকে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সকল নিয়ম নীতি অনুসরণ করে শর্ট কোর্স

ভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনুমোদন নিয়ে স্ব-উদ্যোগে, নিজস্ব অর্থায়নে লক্ষ লক্ষ বেকারদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষকর্মী তৈরি করে আসছে। বাংলাদেশ

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সারাদেশে প্রায় ৩৭০০ প্রতিষ্ঠানে ১০৮টি ট্রেডে অনুমানিক ২০ হাজার প্রশিক্ষকের মাধ্যমে প্রতিবছর প্রায় তিন লক্ষ শিক্ষার্থীকে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করে আসছি। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রণী সৈনিক হিসেবে নীরবে

 

নিভৃতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোন প্রকার আর্থিক, ভৌত অবকাঠামো কারিগরি বা ল্যাব

সহযোগিতা প্রদান করা হয়নি। আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিষ্ঠান করে দেশ ও দশের কল্যাণে কারিগরি দক্ষতা অর্জনে সেবা দিয়ে আসছি। দেশের বিভিন্ন সরকারি অফিস আদালত, বেসরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে যত কম্পিউটার অপারেটর আছে তন্মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগ কর্মী আমাদের তৈরি।

আমাদের হাতে প্রশিক্ষিত যুব সমাজ শুধুমাত্র দেশেই নয়, দেশের বাইরে বিভিন্ন দেশে হাজার হাজার দক্ষ কর্মী বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশকে

মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে উন্নীত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এ সকল কর্ম সম্পাদনে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড আমাদের

 

শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের সিলেবাস তৈরি, নিবন্ধন / রেজিস্ট্রেশন প্রদান, পরীক্ষা গ্রহণ, ফলাফল তৈরি ও সার্টিফিকেট প্রদানের মাধ্যমে অভিভাবকের

মতো মাথার উপরে ছায়ার ন্যায় ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমান কারিগরি দক্ষতা অর্জনে যে শতকরা ৮০ ভাগ অর্জিত হয়েছে তার পিছনে আমাদের অবদান প্রায় শতকরা ১০ ভাগের বেশি। আমাদের ৩৭০০ প্রতিষ্ঠানকে যদি কারিগরি প্রশিক্ষণ থেকে বঞ্চিত করা হয়, তাহলে বাংলাদেশে তথ্য

প্রযুক্তি থাকে ২০৪০ সাল নাগাদ যে কারিগরি শিক্ষায় নির্ধারণ করা হয়েছে তা অর্জন করা সম্ভব হবে না। এ সকল প্রতিষ্ঠানগুলোকে জাতীয় দক্ষতা

উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর অধীনে অধিভুক্তির প্রক্রিয়া চলছে।ঘঝউঅ এর অনুমোদন নিতে গেলে পুনরায় পাঁচ লক্ষ টাকা ব্যাংকে জমা রেখে নতুন করে

ঘঝউঅ এর উপযোগী ল্যাব ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি ক্রয় করতে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা লাগবে সে সমর্থক আমাদের শতকরা ৯৫ বিভাগ প্রতিষ্ঠানের

নাই। এ অবস্থায় যে সকল প্রতিষ্ঠানে ঘঝউঅ অনুমোদন নিতে পারবে না তাদের কি হবে ? আমরা নিম্ন সাক্ষরকারীগণ বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা

বোর্ডের শর্ট কোর্সের অনুমোদন নিয়ে প্রশিক্ষণ চালিয়ে আসছি। আমরা সেভাবেই থাকতে চাই। আমাদের দাবি মেনে নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় দক্ষতা মান

 

 

বেসিক ট্রেড ৩৬০ ঘন্টা কোর্স সম্পাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ কে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পূর্বের ন্যায় চলমান রেখে কার্যক্রম

 

পরিচালনার জন্য দাবি জানিয়েছেন শর্ট কোর্স ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দরা।
স্বারকলিপি প্রদান কালে উপস্থিত ছিলেন শর্টকোর্স ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ও বিষ্ণুদী ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ মোঃ জসীম উদ্দিন,

সদস্য সচিব ও কম্পিউটার ও তথ্য কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পরিচালক মোঃ মামুনুর রশীদ, সদস্য ও আকাবা কম্পিউটার একাডেমির পরিচালক মোঃ

মিজানুর রহমান, সদস্য ও ইয়থ কম্পিউটার হোমসের পরিচালক মাহফুজুর রহমান মামুন, মাই কম্পিউটার একাডেমির পরিচালক মোঃ শরিফুল

ইসলাম, কাপাইকাপ তুফরা মাজারুল হক টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালক শরিফুল ইসলাম, গ্রিন ভিলেজ কম্পিউটার ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের

 

পরিচালক মোঃ শাকিল, ডিজিটাল জোন এন্ড কম্পিউটারর্স গ্রমীণফোন কমিউনিটি ইনফরমেশন সেন্টারের পরিচালক মোঃ রাসেল, ময়নামতি সার্ভে ইনস্টিটিউটের পরিচালক মোঃ আসাদুজ্জামান, ইকরা কম্পিউটার একাডেমী এন্ড আইসিটির পরিচালক মোঃ কবির হোসেন প্রমুখ।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *