কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের অপেক্ষায় ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষা হয় আট মাস পিছিয়ে ডিসেম্বরে। বিশেষ পরিস্থিতিতে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে গ্রুপভিত্তিক তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে ছয়টি পত্রে এ পরীক্ষা হয়। সময় কমিয়ে আনা হয় দেড় ঘণ্টায়। বাংলা ও ইংরেজির মতো আবশ্যিক বিষয়গুলোর পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। এর পরিবর্তে জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে এসব বিষয়ের মূল্যায়ন করে পূর্ণাঙ্গ ফল তৈরি করা হয়েছে। গত রোববার প্রকাশিত উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে দুই মূল সূচক পাসের হার এবং জিপিএ ফাইভ- উভয় ক্ষেত্রেই শিক্ষার্থীরা বিগত অন্তত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভালো করেছেন।
করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে ২০২০ সালে এইচএসসি পরীক্ষা হয়নি। তখন পরীক্ষা ছাড়া ভিন্নভাবে মূল্যায়ন করা হয়েছিল- যাতে সব শিক্ষার্থী পাস করেছিলেন। গত বছর শিক্ষা প্রশাসন এভাবে মূল্যায়ন না করে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শেষ পর্যন্ত গতবারের এইচএসসি পরীক্ষার মতো ‘অটোপাস’-এর ব্যবস্থা না করে অন্তত ন্যূনতম পর্যায়ে হলেও পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়নটি হয়েছে। এ ব্যবস্থা অটোপাসের চেয়ে ভালো হয়েছে এবং এটি স্বীকার করতে হবে, করোনার কারণে শ্রেণিকক্ষে পড়াশোনা ঠিকমতো হয়নি। তবু কম সময়ে, করোনার ভয় ও শঙ্কার মধ্যে শিক্ষার্থীরা প্রস্তুতি নিয়েছেন। তা ছাড়া দেখা গেছে, জিপিএ-৫ পেয়েও অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিই হতে পারছেন না। আবার জিপিএ-৫ না পেয়েও অনেকে খুব ভালো বিষয়েও ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন।
যারা এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়েছেন এবং যারা হতে পারেননি- সবার প্রতি আমাদের শুভকামনা। এখন এই ফলের মধ্যে আটকে না থেকে শিক্ষার্থীদের সামনের দিকে তাকাতে হবে, সামনে আরও ভালো করতে হবে।