সদর হাসপাতালে বহিরাগতদের তৎপরতা !

চাঁদুপুরের চিকিৎসা সেবা নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘ দিন থেকেই। বর্তমানে চাঁদপুর শহরকে হাসপাতালের শহরও বলে অনেকে। কিন্তু এতো হাসপাতাল থাকার পরেও মানুষ সঠিক সেবা পায় কেন তা বোধগম্য নয়। রোগী নিয়ে টানাটানির চিত্র নিত্য দিনের। বিশেষ করে চাঁদপুর ২৫০ শয্যার সরকারি জেনারেল হাসপাতাল তথা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিয়ে অভিযোগ লেগেই আছে।

সম্প্রতি সদর হাসপাতালে বহিরাগত দালাল, প্রাইভেট হাসপাতাল, ডায়াগনস্ট্রিক সেন্টার ও মেডিকেল রিপ্রেজেন্টিভিদের দৌরাত্ম্য শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে দৈনিক চাঁদপুর সময় পত্রিকাসহ বিভিন্ন মিডিয়ায়। এমন অভিযোগ নতুন কিছু নয়। এনিয়ে অতীতেও অনেক সংবাদ এসেছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। যার কারণে এর কোন সমাধান হয়নি আজ অবদি।

সমাধান হবেই বা কি কওে ? কারণ এর সাথে জড়িয়ে রয়েছে হাসপাতালের ডাক্তার থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের স্টাফরা। বহিরাগতের পাহারা দেয়ার দায়িত্ব বহিরাগত কেউ নেয়ার সুযোগও নেই। তাছাড়া এসব দেখার জন্য সিভিলসার্জন কিংবা হাসপাতাল প্রশাসনেরও কোন এখতিয়ার আছে বলে মনেহয় না। এখতিয়ার থাকলেও এর জন্য আলাদা কোন জনবলও নেই।

শুধু মাত্র মুখের কথা দিয়েতো আর ডাক্তার, কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। আমরা মনেকরি এই বিষয়টি সমাধানের জন্য স্বাস্থ্যবিভাগের উর্ধতন মহলের ভাবতে হবে। তা না হলে এসব অসঙ্গতির কোন সমাধান কোন কালেই সম্ভব হবে না। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি এ ব্যাপারে জেলার মন্ত্রী ও রাজনৈতিক নেতাদেরকে নজর দেয়ার কোন বিকল্প নেই। তা না হলে মানুষ সরকারি হাসপালের চিকিৎসা নিতে আজীবন হয়নীর শিকার হতে হবে এবং ন্যায় সংঙ্গত অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে সাধারন রোগীরা।

তাছাড়া সংশ্লিষ্ট ডাক্তার, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নীতি নৈতিকতার পরিবর্তন অপরিহার্য। সামধ্য টুপাইস কামানোর জন্য সাধারণ মানুষের অধিকার খর্ব করা দারুন অন্যায়। এটা সবাইকে বুঝতে হবে। পাশাপাশি যারা বহিরাগত হাসপাতালের সেবায় বিঘ্ন সৃষ্টি করছেন তাদেরকেও নৈতিকতার পরিবর্তন জরুরি। ডাক্তার, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নৈতিক ক্ষলনে উদ্বুদ্ধ করা কোন ন্যায়সঙ্গত আচরন নয়। অন্তত মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করে এর থেকে সংশ্লিষ্ট দৌরাত্ম্য সৃষ্টিকারীদেরকে বের হতে হবে। আমরা এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলের আমুল পরিবর্তন প্রত্যাশা করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *