চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমির প্রানবন্ত সাহিত্য আড্ডা

 

স্টাফ রিপোর্টার

চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমির মাসিক সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩০ জুলাই শহরের জোরপুকুর পাড়স্থ সাহিত্য একাডেমিতে প্রানবন্ত এ আড্ডার আয়োজন করা হয়। জেলার নবীন-প্রবীণ লেখক ও সাহিত্যানুরাগিদের অংশগ্রহণে বিকেল ৪ টায় শুরু হয়ে এ আড্ডা চলে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত।
আড্ডায় আগত কবি সাহিত্যিকরা তাদের স্ব-রচিত কবিতা, প্রবন্ধ এবং গল্প পাঠ করেন। পরে পঠিত লেখা ও কবিতা নিয়ে গঠনমুলক উন্মুক্ত আলোচনা করেন কবি সাহিত্যিকরা।

সাহিত্য আড্ডায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ও সাহিত্য একাডেমির এডহক কমিটির আহ্বায়ক বশির আহমেদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা একাডেমির সাধারণ সদস্য আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল।
চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমির এডহক কমিটির সদস্য সচিব লেখক ও কবি শাহাদাত হোসেন শান্ত’র সভাপতিত্বে এবং সদস্য কবি আশিক বিন রহিমের প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় স্বরচিত কবিতা এবং সাহিত্যের বিভিন্ন দিক নিয়ে গঠনমুলক আলোচনা করেন, সাহিত্য একাডেমির এডহক কমিটির সদস্য অধ্যাপক

 

জালাল চৌধুরী, আবদুল্লাহিল কাফী, ইকবাল হোসেন পাটোয়ারি, জাহাঙ্গীর হোসেন, নজরুল গবেষণা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গণি।

এবারের আড্ডায় প্রবন্ধ পাঠ করেন ইকবাল হোসেন পাটোয়ারি, ছোট গল্প পাঠ করেন জাকির হোসেন, কবিতা পাঠ করেন আবদুল্লাহিল কাফী, মুহাম্মদ

হানিফ, তাফাজ্জল হোসেন, শাহাদাত হোসেন শান্ত, ফয়সাল মৃধা, আশিক বিন রহিম, অমরেশ দত্ত জয়, ছড়া পাঠ করেন খান ই আজম, আবৃত্তি করেন

খোকন মজুমদার।

শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, দৈনিক আলোকিত চাঁদপুর পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো. জাকির হোসেন, দৈনিক চাঁদপুর প্রতিদিনের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক

ইব্রাহিম রণি। মুঠোফোনে সাহিত্য আড্ডার সকল আড্ডারুদের শুভেচ্ছা জানান সাহিত্য একাডেমির এডহক কমিটির সদস্য কবি মাহাবুবুর রহমান

 

সেলিম।

সাহিত্য আড্ডায় অংশ নেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও চিত্রশিল্পী সাধন সরকার, লেখক হাছিনুর আকরাম, দীন মোহাম্মদ, মো. মিজানুর রহমান শেখ, সুদীপ কর

প্রমুখ।

প্রধান অতিথি চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ও সাহিত্য একাডেমির এডহক কমিটির আহ্বায়ক বশির আহমেদ বলেন, চাঁদপুরে

এসে আমি পুলকিত হলাম এটি জেনে যে, এখানে একটি সাহিত্য একাডেমি রয়েছে। আমার জানা মতে, বাংলাদেশের বেশিরভাগ জেলাতে সাহিত্য

একাডেমী নেই। চাঁদপুরে সাহিত্য একাডেমী নিজস্ব ভবন রয়েছে, যেখানে একান্তভাবে সাহিত্য চর্চা হয়। এতে করে এই জেলায় ভালো কবি, সাহিত্যিক

এবং সাহিত্য সমালোচক সৃষ্টি হবে এটাই স্বাভাবিক।

তিনি আরো বলেন, শিল্প-সাহিত্যের চর্চা না হলে সমাজের ভয়ঙ্কর ক্ষতি হবে। আমাদের এই সমাজ ও রাষ্ট্রে এ রকম ক্ষতিটা অলরেডি হয়ে গেছে। যা

আমাদের মুরব্বীরা অনুভব করছেন। তিনি বলেন, তথ্য-প্রযুক্তির অপব্যবহারে আমাদের তরুণ ও যুবসমাজের বড় একটা অংশ ভুল পথে হাঁটছে। এর

থেকে উত্তরণে তাদের শিল্প-সাহিত্যমুখি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমির এই আড্ডা কিছুটা হলেও ভূমিকা রাখতে পারে। তবে সাহিত্য

 

 

আড্ডায় আরো বৈচিত্র আনতে হবে। সাহিত্য সমালোচনাও সাহিত্যের অন্যতম একটি অনুসঙ্গ। যতবেশি সমালোচনা হবে, সাহিত্যকর্মীরা ততবেশি

সমৃদ্ধ হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল পাটওয়ারী বলেন, আমরা চাই চাঁদপুরের

সাহিত্যকর্মীদের মাঝে কোন ভাগ না থাকুক। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী এবং প্রগতিশীল চিন্তার সাহিত্যিকরা এক থাকুক। চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমি

সাহিত্যকর্মীদের উপস্থিতিতে মুখর থাকুক। নতুনদের জায়গা করে দিতে হবে। এই ছাড় দেয়ার মধ্যেই তিনি সত্যিকার অর্থে বড় হতে পারবেন।

তিনি আরো বলেন, চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমির পরিবেশ আরো সুন্দর করতে হবে। সাহিত্য আড্ডাসহ অন্যান্য কার্যক্রম নিয়মিত করতে হবে। আমরাও

 

 

এমন সাহিত্য আড্ডায় নিয়মিত আসতে চাই। এখানে এসে জ্ঞান আহরণ করতে চাই। কারণ সাহিত্যিকদের কাছে আমাদেরও অনেক শিখবার আছে।
উল্লেখ্য আগামি সাহিত্য আসর ২৭ আগস্ট সাহিত্য একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হবে। এতে জেলার সকল কবি সাহিত্যিক ও সাহিত্য অনুরাগিদের উপস্থিত থাকার জন্য আনুরোধ জানিয়েছেন, সাহিত্য একাডেমির সদস্য সচিব শাহাদাত হোসেন শান্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *