হাজীগঞ্জ-কচুয়া-গৌরীপুর সড়কের ডুমুরিয়া নামক স্থানে শুক্রবার সন্ধ্যায় সড়কের মাঝে সুড়ঙ্গ দেখা দেয়। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মূহুর্তের মধ্যেই এলাকার লোকজন সুড়ঙ্গটি এক নজর দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় জমায়। ফলে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শুরু হয় জল্পনা কল্পনা। এক পর্যায়ে গুঞ্জন উঠে এ সুড়ঙ্গের নিচে রয়েছে গুপ্তধন। গুপ্তধন পাওয়ার আশায় রাতভর বেশ কিছু লোকজন এ সুড়ঙ্গটি পাহারা দেয়।
জনশ্রুতি রয়েছে যে, ডুমুরিয়া গ্রামের প্রাণ গোপাল ভূইয়া ছিল এক সময়ের জমিদার। ওই জমিদারদের আমলে দীঘিটি খনন হয়। দিঘীটি রামভদ্র দীঘি নামে পরিচিত ছিল। এ দীঘি থেকে এক সময় মানুষের বিয়ে ও সামাজিক অনুষ্ঠানে চাহিদা অনুযায়ী দীঘির পাড়ে গিয়ে থালা-বাসন, পাতিলসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাওয়ার প্রার্থনা জানালে তা কিছুক্ষণ পর দীঘিতে ভেসে উঠতো । এক সময় এক অনুষ্ঠানে নেওয়া কিছু থালা বাসন রেখে দেওয়ার কারনে ওই থেকে আর থালা-বাসন ও অন্যান্য সামগ্রী ভেসে উঠা বন্ধ হয়ে যায়।
এই দীঘির উপর দিয়েই আঞ্চলিক সড়কটি নির্মিত হয়। জমিদার ভূঁইয়াদের আমলে এ দীঘির অংশে গুপ্তধন লুকানো হয় বলেও জনশ্রুতি রয়েছে। সেই গুপ্তধন উক্ত সুড়ঙ্গ পথে বেড়িয়ে আসতে পারে বলে স্থানীয়রা ধারনা করে। এ ধারণার বশবর্তী হয়ে তারা গুপ্তধন পাওয়ার জন্য লোভী হয়ে উঠে।
সুড়ঙ্গের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপায়ন দাস শুভকে অবগত করালে তিনি তাৎক্ষণিক সড়ক ও জনপথ বিভাগের চাঁদপুরের প্রকৌশলীকে সুড়ঙ্গ সৃষ্টির বিষয়টি জানিয়ে তা ভরাটের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেন। শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে চাঁদপুর সড়ক ও জনপথের লোক এসে বালু দিয়ে সুড়ঙ্গটি ভরাট করে দেয়।
নিজস্ব প্রতিনিধি