সেলিম খানের জামিন শুনানি ১২ অক্টোবর : সেই পর্যন্ত জামিন

মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন  সেলিম খান। অন্যদিকে দুদক জামিনের বিরোধিতা করে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে আগাম জামিন দেন। পরে তা স্থগিত চেয়ে আবেদন করে দুদক। পরবর্তীতে গত ২১ সেপ্টেম্বর সেলিম খানের জামিন স্থগিত করে ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেন চেম্বার আদালত।
গত ১ আগস্ট সেলিম খানের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান বাদী হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ মামলাটি দায়ের করেন।
দুদক জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে সেলিম খানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্পদ বিবরণী চায় দুদক। সেলিম খান ৬৬ লাখ টাকার সম্পদের হিসাব জমা দেন। কিন্তু দুদকের অনুসন্ধানে তার ৩৪ কোটি ৫৩ লাখ ৮১ হাজার ১১৯ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। অনুসন্ধান কর্মকর্তার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কমিশন সভায় সেলিম খানের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সেলিম খান অবৈধ উপায়ে ৩৪ কোটি ৫৩ লাখ ৮১ হাজার ১১৯ টাকার সম্পদ তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতি পূর্ণভাবে নিজ ভোগদখলে রেখেছেন। এছাড়া তিনি ৬৬ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। সেলিম খান যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেছেন, তা যাচাই-বাছাই করে অসঙ্গতি পাওয়া গেছে।

এজাহারে আরো বলা হয়, স্থাবর ও অস্থাবর মিলে সেলিম খানের ৩৭ কোটি ৬১ লাখ ৬৭ হাজার ৩৮৫ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। পারিবারিক ও অন্যান্য বাবদ রয়েছে এক কোটি ছয় লাখ ৩৮ হাজার ৩১০ টাকা। এসব সম্পদের বিপরীতে গ্রহণযোগ্য চার কোটি ১৪ লাখ ২৪ হাজার ৫৭৬ টাকা আয়ের তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেলেও বাকি ৩৪ কোটি ৫৩ লাখ ৮১ হাজার ১১৯ টাকার সম্পদ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *