স্থায়ী শহররক্ষা বাঁধ স্থাপন চাঁদপুরবাসীর প্রাণের দাবি

গতকাল ১৮ জানুয়ারী মঙ্গলবার ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২০২২ শুরু হয়ছে। উদ্বোধনী দিনে সকল জেলা প্রশাসকদের মধ্য থেকে দু’জনকে বক্তব্যের সুযোগ দেয়া হয়। এর মধ্যে প্রথমে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজসিলশ।

এসময় চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট কালরাতে স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকদের হাতে শাহাদাতবরণকারী জাতির পিতার পরিবারের সকল শহীদ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমৃদ্ধ উন্নত অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। আমি শ্রদ্ধার সাথে তাদের স্মরণ করি।

এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্য করে বলেন, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে আপনার অধিক নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন জেলা প্রশাসকগণ।’

তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিগত ২০২০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া কোভিড নাইনটিন মহামারি যখন বিশ্বের অনেক দেশ বিপর্যস্ত তখন আপনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে এবং সময়োপযোগী সিদ্ধান্তে আমরা সফলভাবে বাস্তবায়নে এই দুর্যোগ মোকাবেলা করেছি। এই মহমারি মোকাবেলায় আপনার নির্দেশনাসমূহ মাঠ পর্যায়ে সফলভাবে বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসকগণ দিনরাত কঠোরভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছে।’

‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি জনকল্যানমূলক উন্নত রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে আপনার দশটি বিশেষ উদ্যোগ মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন জেলা প্রশাসকগণ। পাশাপাশি উন্নয়ন কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে যেকোন বিরুপ পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য সক্রিয় রয়েছে এক্সিকিউটিভ এর মাধ্যমে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট। এই মোবাইল কোর্ট কার্যক্রম কোভিড-১৯ মহামারিতে মানুষের চলাচল সীমিতকরণ এবং আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছে।

তিনি আরো বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চাঁদপুর জেলার অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ নদী ভাঙ্গন। স্থায়ী শহররক্ষা বাঁধ না থাকায় প্রতিবছরই নদী ভাঙ্গনের কারণে চাঁদপুর জেলার নদী তীরবর্তী মানুষের সহায়-সম্পত্তি বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। একটি স্থায়ী ও শক্তিশালী শহররক্ষা বাঁধ স্থাপন এ জেলার অধিবাসীদের প্রাণের দাবি। এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার সুদৃষ্টি কামনা করছি।

স্টাফ রিপোর্টার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *