আজ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। এ উপলক্ষে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসন ব্যাপক কর্মসূচি পালন করেছেন। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে পুষ্পস্তবক অর্পন শেষে শুরু পরবর্তী কর্মসূচি।
এর মধ্যে সকাল ৮টায় চাঁদপুর স্টেডিয়ামে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর শান্তির প্রতিক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে পববর্তী কর্মসূচি শুর হয়।
জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার অংশগ্রহনে কুচকাওয়াজ এবং মনমুগ্ধকর শারিরীক কসরত প্রদর্শিত হয়। এসব পর্বে অংশগ্রহনকারী মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ অতিথিবৃন্দ।
পুরস্কার বিতরণ পূর্বে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ জাতির পিতাসহ সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বক্তব্যে বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলার নিপীড়িত জনগণ সশস্ত্রযুদ্ধে লীপ্ত হয়ে ছিনিয়ে আনেন স্বাধীনতার নতুন সূর্য। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পৃথিবীর বুকে রচিত হয় লাল-সবুজের পতাকা এবং প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ নামের নতুন ভূখন্ডের।
ডিসি বলেন, সেদিন জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল অকুতোভয় বীর বাঙালি। এ যুদ্ধছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যয়ের যুদ্ধ, শোষণের বিরুদ্ধে শোষিতের যুদ্ধ, পরাধীনতার বিরুদ্ধে স্বাধীনতার যুদ্ধ এবং বঞ্ছনার বিরুদ্ধে অধিকার আদায়ের যুদ্ধ। সে যুদ্ধেই আমরা বিজয় ছিনিয়ে এনেছি। অনেক ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতা আমাদেরকে উত্তেলিত করে মাথা উচুঁ করে বিশ্বের বুকে বাঁচতে শেখায়।
চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজ ও সাংবাদিক এমআর ইসলাম বাবু’র যৌথ সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিলন মাহমুদ।
এরপর দিবসের কর্মসূচির আলোকে বেলায় ১১টায় চাঁদপুর সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। দুপুরে জেলা কারাগার, হাসপাতাল, শিশু পরিবারে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন এবং বাদ জোহর মসজিদগুলো বিশেষ দোয়া, মন্দির, গীর্জাসহ অন্যান্য উপসানালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করে শীহদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়।
স্টাফ করেসপন্ডেট, ২৬ মার্চ ২০২২