হাইমচরে সাংবাদিকের মোটর সাইকেলে আগুন

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম দৈনিক শপথ পত্রিকা হাইমচর প্রতিনিধি ও উপজেলা প্রেসক্লাবের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফ মোঃ মাছুম বিল্লাহ’র ব্যবহৃত মোটরসাইকেলে গভীর রাতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগুনের লেলিহান শিখায় সম্পূর্ণ মোটরসাইকেল পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।

১২ মে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩.৩০ মিনিট সাংবাদিক মাছুম বিল্লাহ’র নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। হিরো পাওয়ার কোম্পানির অনটেষ্ট গাড়িটি দীর্ঘ ৫ বছর যাবৎ ক্রয়সূত্রে মাছুম বিল্লাহ নিজে ব্যবহার করে আসছেন। প্রতিদিনের ন্যায় মোটরসাইকেল ব্যবহার করে একই স্থানে রাখেন তিনি। ভোর ৩.৩০ মিনিট পাশের বাড়ির লোকজনের চিৎকার শুনে ঘুম থেকে উঠে দেখন নিজের মটরসাইকেল আগুন জ্বলছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার ০৩নং আলগী দক্ষিণ ইউনিয়নের মৃত মোঃ ইমাম হোসেন গাজীর ছোট ছেলে সাংবাদিক মোঃ মাছুম বিল্লাহ (২৩)। তার নিজ বাড়িতে প্রতিদিনের মতো খোলা এক চালার নিচে তার ব্যবহৃত হিরো পাওয়ার মটর সাইকেল গাড়ীটি রেখে লক করে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত অনুমান ৩.৩০ মিনিটের সময় পাশের বাড়ির বাসিন্দা মোঃ সফিউল্ল্যার স্ত্রী ও তার ছেলে মোঃ কামাল হোসেন (২০) ৬ রোজার সেহেরী খেতে উঠলে, আগুন দেখে চিৎকার চেচামেচি করে মাছুম বিল্লাহ কে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন। তিনি দরজা খুলে দেখেন তাহার ব্যবহৃত মটর সাইকেলটি আগুনে জ্বলছে। তাৎক্ষণিক তিনি বালতি দিয়ে পুকুর থেকে পানি উঠিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে। ততক্ষণে তার প্রায় ৩০ হাজার টাকা সমমূল্যের মটর সাইকেলটি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

মাছুম বিল্লাহ জানান, তার মা মারা যাওয়া পর থেকে গত ১ বছর নিয়মিত বাড়িতে থাকেন। কারো সাথে সাথেই তার কোনো প্রকার ঝগড়া বা দ্বন্দ্ব নেই। প্রতিদিনের মতো কাজ সেরে রাতে ঘুমিয়ে পড়লে দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটায়।

প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার দাবী করে তিনি জানান বাড়ির আশপাশে কিংবা চরভাঙ্গা গ্রামের কোনো দুষ্কৃতিকারী যদি এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকে, তবে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার জন্য হাইমচর থানা প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান তিনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ মিজান শেখ জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ এ ওয়ার্ডে আমি জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। কখনও এমন ঘটনা চোখে পড়েনি। যে বা যারা এমন নিন্দনীয় কাজটি করে হীনমন্যতার পরিচয় দিয়েছে তাদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি হাইমচর থানা প্রশাসনের কাছে। সেই সাথে সঠিক তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচারের স্বার্থে আমি সর্বাত্মক সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।

হাইমচর থানার এসআই সঞ্চিত কুমার জানান, আমি সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করে এসেছি। আগুনের সূত্রপাত হতে পারে এমন কোনো উৎস ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যায়, কেউ আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। তবে অপরাধী কখনো ছাড় পাবে না। থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন এর নির্দেশনায় সঠিক তদন্ত পূর্বক অপরাধীকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।

হাইমচর থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন জানান, সাংবাদিক মাছুম বিল্লাহ’র মোটরসাইকেলে অনাকাঙ্ক্ষিত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা শুনে সাথে সাথে ফোর্স পাঠিয়েছি। বিস্তারিত তথ্যের আলোকে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *