হাজীগঞ্জে বোরো চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা

ঝলমলে রোদ গ্রামের মাঠজুড়ে। যত দূর চোখ যায় দেখা মেলে অফুরান সবুজের সমারোহ। বোরো চাষাবাদের শেষ দিকে এসে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার কৃষকেরা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ ধানের জালা ভাঙছেন, কেউবা বুনছেন চারা। অনেকে ফসলি জমিতে সেচ দেওয়ার কাজ করছেন।
হাজীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর জমিতে এবার বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার টন।
বিগত বছরেও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় চলতি বছর ১০০ হেক্টর জমি কম থাকলেও বাম্পার ফলনের আশায় কাজ করছে কৃষি অধিদপ্তর। ইতিমধ্যে পৌরসভাসহ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে আড়াই শ প্রদর্শনী করতে কাজ শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে গত কয়েক বছর খরচের তুলনায় ন্যায্য মূল্য না থাকার ফলে কৃষকদের ধান আবাদের প্রতি আগ্রহ কম দেখা গেছে। এ বছর আশানুরূপ মূল্য পাওয়ায় উৎপাদন ভালো হলে কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলবেন কৃষকেরা।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার দক্ষিণ অঞ্চলের কিছু এলাকায় বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার সময় বাঁধ দিয়ে ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে। এর আগে জমির উর্বরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বর্ষার হাঁটু পানি থাকা অবস্থায় কচুরি ও আবর্জনার স্তূপ করে রাখেন এখানকার কৃষকেরা। পরে এসব স্তূপ শুকানোর পর আগুনে পুড়িয়ে জমি চাষ করা হয়, যা জৈব সারের উপযোগী হিসেবে কাজ করে বলে জানান কৃষক রমিজউদ্দিন, সফিউল্ল্যা, নাছির, আবু ব্যাপারীসহ অনেকে।
উপজেলার উত্তর অঞ্চলের কৃষি মাঠে তিন ধরনের ফসল চাষ করতে দেখা যায়। কৃষি কর্মকর্তা দিলরুবা খানম জানান, চলতি মৌসুমে হাজীগঞ্জ উপজেলায় সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হবে। সেই লক্ষ্যে কৃষকেরা জমি পরিচর্যা শেষে চারা রোপণে নেমে পড়েছেন।

হাজীগঞ্জ প্রতিনিধি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *