হাজীগঞ্জে রিং জাল ও বৈদ্যুতিক শক দিয়ে অবাধে মাছ শিকার

হাজীগঞ্জ প্রতিনিধি হাজীগঞ্জ এবং পার্শ্ববর্তী উপজেলার ডাকাতিয়া নদীতে অবাধে রিংজাল ও বৈদ্যুতিক শক দিয়ে মাছ শিকার হচ্ছে ।এতে করে দেশীয় প্রজাতির মাছের অস্তিত্ব সংকটে পড়বে।
সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে অসাধু মাছ শিকারীরা বৈদ্যুতিক শট দ্বারা সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে নেমে ভোররাত পর্যন্ত তাদের শিকার কাজ চলে। রাতের বেলার কারণে সাধারণ লোকজন তাদেরকে দেখতে পায় না ।অনেক সময় কেউ দেখে ফেললে তারা দ্রুতগতিতে স্থান ত্যাগ করে চলে যায়। তাই তাদেরকে ধরা সম্ভব হয় না।
বিষয়টির উপর গত বছর দৈনিক আমার সংবাদে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর জেলার কোস্টগাড কর্তৃক হাজীগঞ্জ বাজার থেকেই প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের রিংজাল আটক করা হয়। এরপর তাদের কারবার থেমে থাকেনি ।তারা আরো বেপরোয়া হয়ে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় কাকাতিয়া নদীতে শুধু মাত্র হাজীগঞ্জ অংশে ১ হাজারের বেশি রিং জাল দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে।
তাছাড়া নতুনভাবে বৈদ্যুতিক শট দ্বারা মাছ শিকার হচ্ছে অহরহ।
গতকাল রাত আনুমান ৯ টার দিকে দক্ষিণবলা খাল ডাকাতিয়া নদী থেকে এলাকাবাসীর বাবুল গ্রাম অলিপুর এবং ফারুক গ্রাম পাতানিস এলাকা নামের দুইজনকে বৈদ্যুতিক শট দিয়ে মাছ শিকার অবস্থায় ধরে বষয়টি উপজেলা মৎস্য অফিসারকে অবহিত করা হলে তিনি উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তাকে জানাতে বলেন। রাতের কারণে জানানো সম্ভব হয়নি।পরে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে আগামী প্রজন্ম দেশীয় প্রজাতির মাছ কি তা তারা শুধুমাত্র বই-পুস্তকেই দেখতে পাবে। ছবিতে মাছ শিকার করার কাজে ব্যবহার করা উচ্চ শক্তি সম্পন্ন ব্যাটারি ওমেশিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *