৭০ শয্যার বিপরীতে ডায়রিয়া রোগী ৩ শতাধিক

স্টাফ রিপোর্টার চাঁদপুরের মতলবে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) হাসপাতালে ডায়রিয়া ও কলেরায় আক্রান্ত রোগীর চাপ বেড়েই চলেছে। আশপাশের জেলা থেকেও শিশুসহ নানা বয়সের রোগীর ভিড় বাড়ছে বিশেষায়িত এ হাসপাতালে।
এতে নির্ধারিত শয্যার বাইরেও রোগীদের চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। শয্যা শেষ হয়ে যাওয়ায় রোগীদের ঠাঁই মিলছে বারান্দায়। অতিরিক্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সরা।
জানা গেছে, এ হাসপাতালে যে রোগীরা আসছেন, তাদের বেশির ভাগেরই পানিশূন্যতা। ফলে কাবু হয়ে পড়ছেন তারা। যারা সময়মতো ভর্তি হচ্ছেন, তারা ঠিকভাবে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
হাসপাতালে রোগী নিয়ে আসা চাঁদপুর শহরের মিশন রোডের বাসিন্দা হোসনে আরা বেগম বলেন, আমার চার মাস বয়সী বাচ্চার অনেকবার পাতলা পায়খানা ও বমি হয়েছে। আজ (শনিবার) দুপুরে হাসপাতালে এসে ভর্তি হই। এখানে ওষুধের পাশাপাশি খাবার স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে কিছুটা ভালো আছে।
আইসিডিডিআরবি হাসপাতালের ডিউটি ডাক্তার ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন, এ সময়টা ডায়রিয়া ও কলেরার মৌসুম। এ বছরের চিত্রটা ভিন্ন। প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে রোগী ভর্তি হচ্ছেন। আমরা রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছি। তবুও আমরা কোনো রকম বিরক্ত না হয়ে রোগীদের সর্বোচ্চ সেবাটুকু দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
মতলব স্বাস্থ্য ও গবেষণা কেন্দ্র আইসিডিডিআরবির প্রধান ডা. মো. আলফজল খান বলেন, গরম ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়তে পারে। প্রতিদিনই পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রচুর পরিমাণে রোগী আমাদের হাসপাতালে এসে ভর্তি হচ্ছেন। আমরাও তাদের সাধ্যমত সেবা দিয়ে যাচ্ছি। হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ৭০টি হলেও বর্তমানে প্রতিদিন রোগী আসছেন ৩ শতাধিক।
তিনি জানান, এক সপ্তাহে রোগী ভর্তি হয়েছেন প্রায় ২ হাজার ৩০০ জন, যা গত বছরের একই সময়ের দ্বিগুণের বেশি। কোনো রোগী যাতে চিকিৎসাবঞ্চিত হয়ে ফিরে না যান, সে কারণে বাধ্য হয়ে হাসপাতালের বারান্দায় বিছানা পেতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *