কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। বাংলাদেশকে বিশ্ব চিনেছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে। স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে আমাদের উত্তরণ ঘটেছে। ২০৪১ সালে আমরা উন্নত দেশ হওয়ার স্বপ্ন দেখছি। এই অবস্থায় অর্থনীতির স্বাভাবিক গতি ধরে রাখতে এখন বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে সব সমন্বয়হীনতা ও আমলান্ত্রিক জটিলতা দূর করতে হবে। পরিবেশ সৃষ্টি করে আস্থা অর্জন করতে হবে। আমাদের কর্মক্ষম জনশক্তির সংখ্যা বিপুল ও শিক্ষার প্রসার দ্রুত ঘটছে। তবুও রয়েছে সরকারের বিনিয়োগ সহায়ক নীতি। সম্প্রতি বিদ্যুৎ, সড়ক, রেল, বন্দর প্রভৃতি অবকাঠামোর অগ্রগতি হয়েছে। একই সঙ্গে মনে রাখতে হবে, এসব খাতের উন্নয়নেও চাই বিনিয়োগ।
আমাদের সমুদ্রসীমা এখন চিহ্নিত ও স্বীকৃত। সমুদ্রসম্পদ আহরণে দেশ-বিদেশের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের সম্ভাবনা অসীম- এমন মতই দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বিনিয়োগের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপরও জোর দেওয়া হয়। বলা যায়, দল-মত নির্বিশেষে বাংলাদেশের সমাজ এখন এ বাস্তবতা উপলব্ধি করে। অর্থনীতির ক্ষতি হয়- এমন কর্মসূচি প্রদান থেকে রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য সংগঠন বিরত থাকবে, এটিই স্বাভাবিক প্রত্যাশা। জ্বালাও-পোড়াওয়ের রাজনীতি অবশ্যই বর্জন করতে হবে। এতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। বিদেশি বিনিয়োগ তো আসেই না, দেশের উদ্যোক্তারাও নিরুৎসাহ বোধ করেন। বাংলাদেশের বিত্তবানদের একটি অংশ সুইস ব্যাংকে নিয়মিতই অর্থ জমা রাখছেন। এর অন্যতম কারণ দেশে বিনিয়োগের যথাযথ পরিবেশ সম্পর্কে আস্থার অভাব। এ আস্থা সৃষ্টিতে সরকারের ভূমিকা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের কাজ ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া। আর এ জন্যই কাজ চলছে। আশা করব, সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান এ বার্তার গুরুত্ব উপলব্ধি করবে ও নিজ নিজ করণীয় সম্পাদনে উদ্যোগী হবে। এটি মনে রাখতে হবে, দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তারা কাক্ষিত পরিবেশ পেলেই কেবল আমাদের উন্নয়নে মূলধন খাটাতে উৎসাহী হবেন।