হাইমচর উপজেলার গন্ডামারা গ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে আরমান (২৭) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়। বুধবার (২৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে আরমানের বাড়ি হতে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আরমানের স্ত্রী সাথী ফরিদগঞ্জ উপজেলার বিশকাটালী গ্রামের মনা মিয়া গাজীর মেয়ে।
এ ঘটনায় তার পিতা তোফায়েল মুন্সীর অভিযোগের ভিত্তিতে হাইমচর থানা পুলিশ আরমানে স্ত্রী সাথী আক্তার (২৫) কে আটক করে। আরমানের পিতা তোফায়েল মুন্সীর (কবিরাজ) অভিযোগপত্র এজাহার হিসেবে নিয়ে হাইমচর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার বাদী তোফায়েল মুন্সী (কবিরাজ) বলেন, আমার ছেলে কাজ করে দেরীতে আসায় ছেলের সাথে তার বউয়ের ঝগড়া হয়। ২জনের মধ্যে ঝগড়ায় সন্ধ্যায় লোকজন দিয়ে আরমানকে মেরে সাথী আমাকে খবর দেয় আমার ছেলে ফাঁসি দিয়েছে। আমার ছেলের মাথা থেকে রক্ত পড়তেছে। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই। এর আগে এই বউ ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়ে বাপের বাড়িতে চলে যায়। তাদের মধ্যে প্রায় ঝামেলা লেগে থাকতো।
এ বিষয়ে হাইমচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা বলেন, নিহত আরমানের পিতা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রধান আসামীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি আমরা। বাকী আসামীদের ধরার অভিযান চলমান রয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুরে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহত আরমানের শরীরে বিভিন্ন স্থানে কাটা, ফাটা, জখম রয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার, ২৭ আগস্ট ২০২১;