নীলকমল ইউনিয়নে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বাচ্চু সরকার ও দাদন সিকদারের নেতৃত্বে জাটকা ধরার হিড়িক

 

স্টাফ রিপোর্টার

দেশের ইলিশ সম্পদ উন্নয়নে জাটকা সংরক্ষণের জন্য ১ মার্চ থেকে শুরু করে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ২ মাস দেশের ৬ জেলার ৫টি অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সবধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাচ্চু সরকার, ও ইউপি সদস্য দাদান সিকদার বাচ্চু মোল্লা, সাদি মাল, সাইফুল ইসলাম চৌকিদার, শাহরিয়ার, শাহালি মাল, দেলোয়ার চৌকিদারের নেতৃত্বে নীলকমল ইউনিয়নের বিভিন্ন মহলের ও বাজারে জাটকা নিধনের হিড়িক।
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার অভয়াশ্রম এলাকায় মার্চ-এপ্রিল দুই মাস ইলিশের পোনা জাটকাসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকলেও অনেক জেলেই নদীতে নেমে মা ইলিশ ও জাটকা নিধন করছেন ।
এভাবে জাটকা ইলিশ ধরা হলে আগামী মৌসুমে ইলিশ পাওয়া যাবে না। এতে করে আমরা যারা প্রকৃত জেলে রয়েছি তাদের কষ্টের সীমা থাকবে না। মৎস্য আড়ৎ বিক্রি করে আসছে, বাচ্চু সরকার ও দাদান সিকদারকে কেউ কিছু বললে তাকে জানে মেরে ফেলা হবে শুধু তাইনয় এই বাচ্চু সরকার ও দাদান সিকদার নেতৃত্বে এলাকায় অনেকেই অপকর্মের সাথে জড়িত রয়েছে বলে স্হানীয়রা জানান।

 

হাইমচরে নদীতে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা মানছেন না জেলেরা। প্রকাশ্যেই নির্বিচারে নিধন করছে মা ইলিশ দিনে ও রাতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে।
নীলকমল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাচ্চু সরকার ও দাদান সিকদার এবং প্রায় ২০ জন দালালের নেতৃত্বে চলছে জাটকা ইলিশ নিধনের মহাউৎসব ও বাচ্চু সরকার ও দাদান সিকদার সাহেবগঞ্জ বাজার হাট মৎস্য আড়ৎ দিয়ে অবৈধ ভাবে মাছ বিক্রি করে আসছে।

মৎস্য কর্মকর্তারা বলছেন, কিছু অসাধু জেলে আটক দরে বাচ্চু সরকার ও দাদান সিকদারের আড়ৎতে বিক্রি করে আসছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানান স্হানীয় এলাকার জেলে প্রতিনিধিরা।

নীলকমল ইউনিয়নের বিভিন্ন মহলের গিয়ে দেখা যায়, জাটকা শিকারে দলবদ্ধভাবে নৌকা নিয়ে নদীতে নেমেছে জেলেরা।

নৌকার বহর দেখে যে কারোরই মনে হতে পারে নদীতে মাছ ধরার প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছে তারা। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জাটকা নিধনে মেতেছে জেলেরা।
বিশেষ করে চাঁদপুরের হরিনা, মোহনপুর ও পাশের মুন্সীগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থান থেকে জেলেরা সংঘবদ্ধ হয়ে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল নিয়ে জাটকা শিকারে নদীতে নামছে। জাল ভর্তি হয়ে উঠে আসছে জাটকা মাছ।
নিষেধাজ্ঞার সময়ে জাটকাসহ সব ধরনের মাছ আহরণ, বেচা-কেনা, মজুদ ও পরিবহন নিষিদ্ধ। আইন অমান্যকারী ব্যক্তিকে মৎস্য আইনে ২ বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও উভয় দণ্ড দেয়ার বিধান রয়েছে।

নীলকমল ইউনিয়নের এলাকার জেলে জামাল গাজী বলেন, ‘সরকার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুই মাস আমরা নিষেধাজ্ঞা মান্য করে নদীতে নামি না মাছ ধরতে। কিন্তু অনেক জেলেই নদীতে নেমে জাটকা নিধন করছেন।

 

এভাবে জাটকা ধরা হলে আগামী মৌসুমে ইলিশ পাওয়া যাবে না। এতে করে আমরা যারা প্রকৃত জেলে রয়েছি তাদের কষ্টের সীমা থাকবে না। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, চাঁদপুরের জাটকা রক্ষায় আমরা সবসময় কাজ করে যাচ্ছি। ২৪ ঘণ্টা নদীতে টহল দেয়া হচ্ছে। জাটকা রক্ষায় আমরা অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে রয়েছি। এর সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাচ্চু সরকার, ও ইউপি সদস্য দাদান সিকদার, বাচ্চু মোল্লা, সাদি মাল, সাইফুল ইসলাম চৌকিদার, শাহরিয়ার, শাহালি মাল, দেলোয়ার চৌকিদা সহ যারা এই জাটকা সাথে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় এনে জাটকা রক্ষার জন্য এলাকাবাসী দাবী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *