কচুয়া প্রতিনিধি কচুয়া উপজেলার ৮নং কাদলা ইউনিয়নের গুলবাহার গ্রামের জনতা ব্যাংক কর্মকর্তা শামছুল আলম খানের নির্মাণাধীন দু’তলা বাড়ি মৌমাছিদের দখলে রয়েছে। শামছুল আলম খান গুলবাহার গ্রামের খান বাড়ির প্রয়াত আব্দুল কাদের খানের পুত্র। তিনি রহিমানগর বাজারস্থ সাতবাড়িয়া জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তবে এই মৌমাছিরা কখনও কাউকে আক্রমণ করেননি বলে বাড়ির মালিক ও আশেপাশের লোকজন জানান। প্রথম প্রথম সংঘবদ্ধ মৌচাক দেখে পরিবারের সবাই ভয়ে আতংকিত থাকলেও এখন আর কেউ ভয় পায় না। বরং নিয়মিত মধু সংগ্রহ করে আনন্দিত শামছুল আলম খানের পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের চাহিদা পূরণ করেও মধু বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন এই বাসার মালিক। ভবনটি করার কিছুদিন পর থেকেই মৌমাছিরা এসে তার ভবনে বাসা বাঁধে। প্রথম বছর দু-একটি করে চাক তৈরি করলেও প্রতিবছরই এই চাকের পরিমাণ বাড়তে থাকে। গত ৩বছর ধরে তার ভবন ও ভবনের পাশের গাছে মধুর চাক বসিয়েছে। বর্তমানে ওই বাড়িতে প্রায় ১২টি মধুর বাসার চাক রয়েছে।
ব্যাংকার শামছুল আলম খান বলেন, মৌমাছিদের পরিচর্যা,মধু সংগ্রহ ও সংরক্ষন সবই আমি করে থাকি। মৌমাছিদের কেউ বিরক্ত না করলে তারা এভাবেই থাকবে বলে জানান বাড়ির মালিক। বছরের প্রায় অর্ধৈক সময় মৌমাছিরা তাঁর ভবনের চারদিক ঘিরে রাখে।
প্রতিবেশী বিপ্লব খান জানান, শামছুল আলম খান সম্পর্কে জেডাতে ভাই হন। তার ভবনের চারদিকে প্রায় ৩বছর যাবত জানুয়ারির শুরু থেকে বছরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত মৌমাছিরা বাসা বাধেঁ। এ গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে। মৌমাছির বাসা দেখতে প্রতিনিয়ত এলাকার সৌখিন লোকজন ওই বাড়ির আশপাশে ভিড় জমায়। শামছুল আলম খানের জামাতা সাপ্তাহিক শিকড় সংবাদ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মো. বোরহান উদ্দিন মজুমদার জানান, শ^শুরালয়ে বেশকিছু মৌমাছির বাসা রয়েছে। প্রথমত বিষয়টি কৌতহলী ও ভয়ভয় হলেও বর্তমানে তা পরিবারের সদস্যদের মতো মানিয়ে নেয়া হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার মো. সোফায়েল হোসেন বলেন, পরিকল্পিকত ভাবে মধু বাসাগুলো সংরক্ষিত করে রাখতে হবে। তবে মৌমাছির চাক গুলোকে যাতে বিরক্ত না করা হয় সেই দিকে সচেতন রাখতে হবে। পাশাপাশি মধুর যে চাক রয়েছে সেই চাক গুলো কেটে মধু সংগ্রহ করার পরামর্শ দেন তিনি।
এলডিপির মহাসচিবের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন চাঁদপুরের নেতৃবৃন্দ
লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি) এর মহাসচিব ও সাবেক মুক্তিযোদ্ধা প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. রেদোয়ান আহমেদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি মোঃ মঞ্জুর হোসেন খান ও সাধারন সম্পাদক ফজলুল কাদের চৌধুরী, সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্ধু।
নিজেদের সংগঠনের এই নেতার মুক্তির দাবিতে ১৪ মে শনিবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর জেলা শাখার পক্ষ থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রেরণ করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ্য করা হয়, গত ৯ মে কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানায় ড. রেদোয়ান আহমেদ ডিগ্রী কলেজ মিলনায়তনে ঈদ পুর্ন মিলন অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে স্বেচ্চাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি) এর মহাসচিব ও সাবেক মুক্তিযোদ্ধা প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. রেদোয়ান আহমেদের গাড়ী বহরে হামলা চালায়।
এসময় তিনি আত্মরক্ষায় তার লাইসেন্সকৃত পিস্তল থেকে ফাঁকা গুলি ছুড়েন। পরে তিনি থানায় গিয়ে আশ্রয় নেন। কিন্তু থানা পুলিশ নেতাকে আশ্রয় না দিয়ে গ্রেপ্তার করে রাতে কুমিল্লা আদালতে প্রেরণ করেন। আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরন করেন। তিনি বর্তমানে জেল হাজতে অসুস্থতাবোধ করছেন। তার শারীরিক সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করছি। একই সাথে আমরা তার নিঃশর্তে মুক্তির দাবী জানাচ্ছি।