বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে চাঁদপুরের কর্মসূচি

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে চাঁদপুরের কর্মসূচি
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে চাঁদপুরের কর্মসূচি

চাঁদপুর সময় রিপোট-জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ ও জাতীয় শিশু দিবস পালনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হয় । উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ ।

জেলা প্রশাসক সকলের উপস্থিতিতে স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে স্বাগত বক্তব্যে বলেন,‘১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ এদিন থেকে শুরু হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। জাতির পিতার কষ্টার্জিত এ স্বাধীনতা যেন ম্লান না হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি সজাগ থাকতে হবে ।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালনের লক্ষ্যে উপস্থিত সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ,সাংবাদিক,শিক্ষক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মতামত প্রদানের আহ্বান জানান । ’

বিস্তারিত কর্মসূচি

১৬ ও ১৭ মার্চ ২০২০ জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সকল সরকারি-বেসরকারি ভবনে আলোকসজ্জা, সকল সরকারি-বেসরকারি,সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও জেলা- উপজেলায় জাতীয় পতাকা ঊত্তোলন, চাঁদপুর সরকারি কলেজে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ,বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন, স্ব স্ব বিভাগীয় ও প্রতিষ্ঠানসমূহে সীমিত পরিসরে কেক কাটা ও মিষ্টান্ন বিতরণ,মসজিদ,মন্দির,গির্জাসহ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে মিস্টান্ন ও খাবার বিতরণ, হাসপাতালে উন্নতমানের খাবার ও মিষ্টান্ন বিতরণ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর ভিডিও ক্লিপ ও ফুটেজ প্রচার,রচনা চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা , বিভিন্ন স্তরের শিক্ষাখী দের মধ্যে ক্যুইজ প্রতিযিাগিতা ও প্রদর্শনী,বিনামূল্যে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মধ্যে বিতরণ, বীরমুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান , জেলার সব ক্লিনিকে ২০ % হারে ছাড়ে দিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা চাঁদপুর ও মতলব সেতু টোল ফ্রি ,সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান ,১৭ মার্চের ভোরে প্রথম ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশুর জন্যে বিশেষ পুরস্কার ও আলোচনা সভা ,সাস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান ইত্যাদি।

কর্মসূচি সুন্দরভাবে ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য ইতিমধ্যেই একটি জেলা কমিটি ও চারটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং ১৩ টি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *